#গরুরা_যেমন_গোষ্ঠে_সুন্দর, চুম্বন তেমনি ওষ্ঠে সুন্দর / রানা সরকার
চুম্বন বা “ওষ্ঠপান” কয় প্রকারের হয় এই নিয়ে হঠাৎ আলোচনা শুরু হয়েছে চতুর্দিকে। অথবা সঠিক ভাবে বলতে গেলে “চুম্বন” কি হতে পারে প্রতিবাদের প্রতীক?
ইতিহাস ক্লাসে এক অকালপক্ব ছাত্রের প্রশ্নের উত্তরে স্যার গম্ভীর ভাবে বললেন যে , না, পুরাকালে কেউ চুমু খেতেন না। কারন গুপ্ত যুগের আগে কোনও শিলালিপি বা মুদ্রা বা কোনও ঐতিহাসিকের লেখায় “চুমুর” উল্লেখ নেই। “চুমু বা ইয়ে” ওই সব শুরু হয় গুপ্তযুগ থেকে এবং তার উদাহরণ আমরা পাই অজন্তা ইলোরার গুহাচিত্রে। কারন আগে রাজারা যুদ্ধবিগ্রহ নিয়ে ব্যাস্ত থাকতো আর রানীরা সন্তান নিয়ে। পুরোহিতরা যাগযজ্ঞ করতেন, বৈশ্যরা বাণিজ্য আর শূদ্ররা এঁদের সেবা করতেন। এতো সব কাজের ফাঁকে “চুমু” খাওয়ার সময় কোথায়? তাই তারা চুমু খেতেন না। ছাত্রটি এতে সন্তুষ্ট না হয়ে আরও গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল কিন্তু ঘণ্টা গেল পড়ে।
“চুমু” নানা রূপে আস্তে পারে। “ফ্লাইং”, “ফ্রেঞ্চ”, “এস্কিমো” ইত্ত্যাদি। জানি না “জার্মান”, “রাশিয়ান” বা “চৈনিক” চুমুর ধরণ বা নাম কী? কিন্তু এই যে “স্মুচ” এবং প্রকাশ্য, এই নিয়ে চলছে তর্ক। তর্ক উঠেছে এই ভাবে যত্র তত্র “স্মুচ” বা “ওষ্ঠপান” করা যায় কিনা যেখানে “ধূমপান” নিষিদ্ধ হয়ে গ্যাছে। কোনও ন্যাকা আঁতেল বলছিলেন, “কেন চুম্বীলে ওষ্ঠে, কুসুম, তোমার কি ললাট বা কপোল নাই?”।
‘মরাল পোলিসিং’ এর বিরুদ্ধে এই যে প্রতিবাদ সেটা কি লিঙ্গ বৈষম্য সংক্রান্ত প্রতিবাদের সমতুল্য ? যেখানে প্যারিসের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের “বার্ন দ্য ব্রা”, ইউক্রেনের “ফিমেন” বা আমেরিকার “ফ্রি দ্য নিপল” এর মাধ্যমে যে আন্দোলন নানা দিকে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে জেহাদ তুলেছিল তাকে কি কোচির ‘কিস অফ লাভ’ এর এবং প্রকাশ্য চুম্বন বিরোধী ‘গৈরিক সন্ত্রাসের’ পাল্টা জবাব হিসেবে পরিগনিত করা যায়?
কেন নয়? কবি সত্ত্যেন্দ্রনাথ লিখেছেন, “... কোন দেশেতে তরুলতা সকল দেশের চাইতে শ্যামল / কোন দেশেতে চলতে গেলে দলতে হয়রে দূর্বা কমল ... ...... জলে ‘Moral’ চলে আগে আগে মরালী তার পিছে পিছে...” বলছিলেন একজন প্রতিবাদী।
‘মরাল পোলিসিং’ হবে আর ‘মরালী পোলিসিং’ হবে না তা কী হয় । যেমন ‘হেনরি কিসিঞ্জার’, তিনি কি তার নাম পালটে দেবেন? Kissমিশ ? kissoলয়? “এখানে প্রকাশ্যে ঘুষ খাওয়া অন্যায় নয়, চুমু খাওয়া অন্যায়...”। আমাদের আসল গুরু ক্যা জানেন? “ইমরান হাস্মি”। ওহ, চুমুতে চুমুতে বক্স-অফিস ভেঙে চৌচির। আমরা ভাবছি “ইমরানের” চুমু খাওয়া ছবি গেঞ্জিতে সেটে নেব। লেখা থাকবে “হোক চুম্বন”।
কিন্তু এভাবে যে কেউ প্রতিবাদ জানাতে যাকে তাকে যদি চুমু খেতে শুরু করে তখন কী হবে? ধরো, গেরুয়া রঙের কাপে ছাত্রীর মা চা আনলেন, এই প্রতিবাদে যদি কোনও গৃহশিক্ষক ছাত্রী বা তার মাকে যদি চুমু খায়, কি হবে ভেবে দেখেছ? বা ধর কেউ ‘গৈরিশ’ ছন্দে কবিতা লিখল, সেটাকে ‘গৈরিক’ ছন্দ ভেবে নিয়ে তার মা বা বাবাকে কি চুমু খেয়ে প্রতিবাদ জানান হবে? ওষ্ঠে? কেন ওষ্ঠ ছাড়া কানে কানে বা চোখে চোখে বা চিবুকে চিবুকে অথবা হাঁটুতে হাঁটুতে কি চুমু খাওয়া যেত না?
না। গরুরা যেমন গোষ্ঠে সুন্দর, চুম্বন তেমনি ওষ্ঠে সুন্দর। সেই যে কবে কারা গান গেয়েছিল , “ ও মিস / দে দে কিস/ আয়া হ্যাঁয় / এইটটি সিক্স...” বা বিগ বি এর সেই নাচ, “জুম্মা চুমা দে দে / জুম্মা চুমা দে দে চুমা...” আর গুরু তো এখন কলকাতায়। তা বলে কি শুক্রবার ছাড়া চুমু খাব না? আমরা “চুমু চুমু চুমু চাই / চুমু খেয়ে বাঁচতে চাই”।
এদিকে এক টিভি চ্যানেলে সন্ধ্যাবেলায় প্যানেল ডিসকাশন চলছে। সেই সময় যাদবপুরের ট্রাফিক পুলিশে যিনি ছিলেন তিনি বললেন, “হঠাৎ ওয়াকিটকিতে কর্তার ফোন বুঝলেন? যে এতো যানজট কেন? আমি লজ্জায় লাল হয়ে বললাম স্যার সবাই একটু ইয়ে মানে চুমু খাচ্ছে, রাস্তায়। ... স্যার তো রেগে কাই, বললেন যে পুলিশের চাকরী ছেড়ে এবার যাদবপুরে ভর্তি হবেন”।
বাসের এক বিহার প্রদেশের ড্রাইভার যিনি সেই সময় ঐ রাস্তায় ছিলেন বললেন, “ ই কা হুই গাবা , ই ঠিক বাত নাহি। ক্যায়সান ছক্রা-ছুক্রি লোগ চুম্মা লি, হাম না সামাঝ সাকাথ ভাইয়া। ইন লোগা কা খোপারিয়া মে ই বাত ক্যায়সান ঘুসাল, ইস্কো লেকার যাচ পরতাল হও সাকাথ হ্যাঁয় কা?”
এক ওড়িশাবাসি পাচক ঠাকুর সেই সময় সেখানে ছিলেন। বললেন যে, “মু কী বলিবও। কী বলিবও? গটে বারো দেখিলা... । জয় জগন্নাথও ...
বামপন্থী বুদ্ধিজীবী বললেন, “চুমু হল একটা বুর্জোয়া এবং Non-intellect ব্যাপার, আমি এই সব নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না”।
এক প্রতিবাদি ছাত্র বলল যে এই মওকায় না আমি ম্যাডামকে না এয়সান চুমু খেয়েছি। অনেকদিন ধরে তক্কে তক্কে ছিলাম। উফ, কী বলব...
এক অধ্যাপিকা সাংবাদিকের প্রশ্নে রেগে গিয়ে বললেন, "কে আমার ছেলে না ভাইপো বা বোনপোর বয়সী সেটা জানি না। ফার্স্ট ইয়ারে আমার ক্লাস করত। আমার ভালো লাগত ওকে। বেশ করেছি খেয়েছি চুমু...। আপনার কী?"
কবি বললেন, “চুমু খাওয়া খুব ভালো অভ্যাস। এতে শরীর ও মন দুই ভালো থাকে”।
একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার বললেন যে, শুধু চুমু খেয়ে সারাদিন থাকলে ডিহাইড্রেশন হয়ত হবে না, তবে যাদের গ্যাস্ট্রিক আলসার আছে তারা খালি পেটে চুমু খাবেন না।
ফেলুদার বাড়িতে চা আর সেউভাজা খেতে খেতে চুমু নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। ফেলুদা লালমোহনবাবুকে জিজ্ঞসা করলেন “ যত্র তত্র চুমু খেলে আরাবল্লীর ডাকাতরা কিভাবে শাস্তি দেয় জানেন?”
“ঘ্যাচাং”, লাল্মহনবাবু গলা কেটে দেওয়ার ভঙ্গি করলেন।
ফেলুদা তাতে অসন্মত হয়ে দেখালেন, ““ঘ্যাচাং”
- ঠোঁট...?
- কেটে দেয়, কেটে ফেলে দেয়।
লাল্মহনবাবু সেটা তার ডায়েরীতে নোট করে নিলেন।
ইতিহাস ক্লাসে এক অকালপক্ব ছাত্রের প্রশ্নের উত্তরে স্যার গম্ভীর ভাবে বললেন যে , না, পুরাকালে কেউ চুমু খেতেন না। কারন গুপ্ত যুগের আগে কোনও শিলালিপি বা মুদ্রা বা কোনও ঐতিহাসিকের লেখায় “চুমুর” উল্লেখ নেই। “চুমু বা ইয়ে” ওই সব শুরু হয় গুপ্তযুগ থেকে এবং তার উদাহরণ আমরা পাই অজন্তা ইলোরার গুহাচিত্রে। কারন আগে রাজারা যুদ্ধবিগ্রহ নিয়ে ব্যাস্ত থাকতো আর রানীরা সন্তান নিয়ে। পুরোহিতরা যাগযজ্ঞ করতেন, বৈশ্যরা বাণিজ্য আর শূদ্ররা এঁদের সেবা করতেন। এতো সব কাজের ফাঁকে “চুমু” খাওয়ার সময় কোথায়? তাই তারা চুমু খেতেন না। ছাত্রটি এতে সন্তুষ্ট না হয়ে আরও গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল কিন্তু ঘণ্টা গেল পড়ে।
“চুমু” নানা রূপে আস্তে পারে। “ফ্লাইং”, “ফ্রেঞ্চ”, “এস্কিমো” ইত্ত্যাদি। জানি না “জার্মান”, “রাশিয়ান” বা “চৈনিক” চুমুর ধরণ বা নাম কী? কিন্তু এই যে “স্মুচ” এবং প্রকাশ্য, এই নিয়ে চলছে তর্ক। তর্ক উঠেছে এই ভাবে যত্র তত্র “স্মুচ” বা “ওষ্ঠপান” করা যায় কিনা যেখানে “ধূমপান” নিষিদ্ধ হয়ে গ্যাছে। কোনও ন্যাকা আঁতেল বলছিলেন, “কেন চুম্বীলে ওষ্ঠে, কুসুম, তোমার কি ললাট বা কপোল নাই?”।
‘মরাল পোলিসিং’ এর বিরুদ্ধে এই যে প্রতিবাদ সেটা কি লিঙ্গ বৈষম্য সংক্রান্ত প্রতিবাদের সমতুল্য ? যেখানে প্যারিসের সরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ের “বার্ন দ্য ব্রা”, ইউক্রেনের “ফিমেন” বা আমেরিকার “ফ্রি দ্য নিপল” এর মাধ্যমে যে আন্দোলন নানা দিকে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে জেহাদ তুলেছিল তাকে কি কোচির ‘কিস অফ লাভ’ এর এবং প্রকাশ্য চুম্বন বিরোধী ‘গৈরিক সন্ত্রাসের’ পাল্টা জবাব হিসেবে পরিগনিত করা যায়?
কেন নয়? কবি সত্ত্যেন্দ্রনাথ লিখেছেন, “... কোন দেশেতে তরুলতা সকল দেশের চাইতে শ্যামল / কোন দেশেতে চলতে গেলে দলতে হয়রে দূর্বা কমল ... ...... জলে ‘Moral’ চলে আগে আগে মরালী তার পিছে পিছে...” বলছিলেন একজন প্রতিবাদী।
‘মরাল পোলিসিং’ হবে আর ‘মরালী পোলিসিং’ হবে না তা কী হয় । যেমন ‘হেনরি কিসিঞ্জার’, তিনি কি তার নাম পালটে দেবেন? Kissমিশ ? kissoলয়? “এখানে প্রকাশ্যে ঘুষ খাওয়া অন্যায় নয়, চুমু খাওয়া অন্যায়...”। আমাদের আসল গুরু ক্যা জানেন? “ইমরান হাস্মি”। ওহ, চুমুতে চুমুতে বক্স-অফিস ভেঙে চৌচির। আমরা ভাবছি “ইমরানের” চুমু খাওয়া ছবি গেঞ্জিতে সেটে নেব। লেখা থাকবে “হোক চুম্বন”।
কিন্তু এভাবে যে কেউ প্রতিবাদ জানাতে যাকে তাকে যদি চুমু খেতে শুরু করে তখন কী হবে? ধরো, গেরুয়া রঙের কাপে ছাত্রীর মা চা আনলেন, এই প্রতিবাদে যদি কোনও গৃহশিক্ষক ছাত্রী বা তার মাকে যদি চুমু খায়, কি হবে ভেবে দেখেছ? বা ধর কেউ ‘গৈরিশ’ ছন্দে কবিতা লিখল, সেটাকে ‘গৈরিক’ ছন্দ ভেবে নিয়ে তার মা বা বাবাকে কি চুমু খেয়ে প্রতিবাদ জানান হবে? ওষ্ঠে? কেন ওষ্ঠ ছাড়া কানে কানে বা চোখে চোখে বা চিবুকে চিবুকে অথবা হাঁটুতে হাঁটুতে কি চুমু খাওয়া যেত না?
না। গরুরা যেমন গোষ্ঠে সুন্দর, চুম্বন তেমনি ওষ্ঠে সুন্দর। সেই যে কবে কারা গান গেয়েছিল , “ ও মিস / দে দে কিস/ আয়া হ্যাঁয় / এইটটি সিক্স...” বা বিগ বি এর সেই নাচ, “জুম্মা চুমা দে দে / জুম্মা চুমা দে দে চুমা...” আর গুরু তো এখন কলকাতায়। তা বলে কি শুক্রবার ছাড়া চুমু খাব না? আমরা “চুমু চুমু চুমু চাই / চুমু খেয়ে বাঁচতে চাই”।
এদিকে এক টিভি চ্যানেলে সন্ধ্যাবেলায় প্যানেল ডিসকাশন চলছে। সেই সময় যাদবপুরের ট্রাফিক পুলিশে যিনি ছিলেন তিনি বললেন, “হঠাৎ ওয়াকিটকিতে কর্তার ফোন বুঝলেন? যে এতো যানজট কেন? আমি লজ্জায় লাল হয়ে বললাম স্যার সবাই একটু ইয়ে মানে চুমু খাচ্ছে, রাস্তায়। ... স্যার তো রেগে কাই, বললেন যে পুলিশের চাকরী ছেড়ে এবার যাদবপুরে ভর্তি হবেন”।
বাসের এক বিহার প্রদেশের ড্রাইভার যিনি সেই সময় ঐ রাস্তায় ছিলেন বললেন, “ ই কা হুই গাবা , ই ঠিক বাত নাহি। ক্যায়সান ছক্রা-ছুক্রি লোগ চুম্মা লি, হাম না সামাঝ সাকাথ ভাইয়া। ইন লোগা কা খোপারিয়া মে ই বাত ক্যায়সান ঘুসাল, ইস্কো লেকার যাচ পরতাল হও সাকাথ হ্যাঁয় কা?”
এক ওড়িশাবাসি পাচক ঠাকুর সেই সময় সেখানে ছিলেন। বললেন যে, “মু কী বলিবও। কী বলিবও? গটে বারো দেখিলা... । জয় জগন্নাথও ...
বামপন্থী বুদ্ধিজীবী বললেন, “চুমু হল একটা বুর্জোয়া এবং Non-intellect ব্যাপার, আমি এই সব নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না”।
এক প্রতিবাদি ছাত্র বলল যে এই মওকায় না আমি ম্যাডামকে না এয়সান চুমু খেয়েছি। অনেকদিন ধরে তক্কে তক্কে ছিলাম। উফ, কী বলব...
এক অধ্যাপিকা সাংবাদিকের প্রশ্নে রেগে গিয়ে বললেন, "কে আমার ছেলে না ভাইপো বা বোনপোর বয়সী সেটা জানি না। ফার্স্ট ইয়ারে আমার ক্লাস করত। আমার ভালো লাগত ওকে। বেশ করেছি খেয়েছি চুমু...। আপনার কী?"
কবি বললেন, “চুমু খাওয়া খুব ভালো অভ্যাস। এতে শরীর ও মন দুই ভালো থাকে”।
একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার বললেন যে, শুধু চুমু খেয়ে সারাদিন থাকলে ডিহাইড্রেশন হয়ত হবে না, তবে যাদের গ্যাস্ট্রিক আলসার আছে তারা খালি পেটে চুমু খাবেন না।
ফেলুদার বাড়িতে চা আর সেউভাজা খেতে খেতে চুমু নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। ফেলুদা লালমোহনবাবুকে জিজ্ঞসা করলেন “ যত্র তত্র চুমু খেলে আরাবল্লীর ডাকাতরা কিভাবে শাস্তি দেয় জানেন?”
“ঘ্যাচাং”, লাল্মহনবাবু গলা কেটে দেওয়ার ভঙ্গি করলেন।
ফেলুদা তাতে অসন্মত হয়ে দেখালেন, ““ঘ্যাচাং”
- ঠোঁট...?
- কেটে দেয়, কেটে ফেলে দেয়।
লাল্মহনবাবু সেটা তার ডায়েরীতে নোট করে নিলেন।
ওদিকে বাড়িতে ফিরে এক ছাত্রী মায়ের হাতে বেদম মার খেলো। ন্যাকামো, না? ন্যাকামো? । পাঠিয়েছি পড়তে, তা না করে চুমু খেয়ে বেরোন হচ্ছে, আস্তে দে বাবাকে। আজ তোর একদিন কী আমার একদিন।
অন্য এক বাড়িতে মা ছেলেকে বলছে, “চুমু তো খেলি, মেয়েটার স্ট্যাটাস জানিস? ওর যে কোনও রোগ আছে না নেই সেটা জানিস?... আর চুমু খাওয়ার পর দাঁত মেজেছিলি ভালো করে?
অন্য এক বাড়িতে মা ছেলেকে বলছে, “চুমু তো খেলি, মেয়েটার স্ট্যাটাস জানিস? ওর যে কোনও রোগ আছে না নেই সেটা জানিস?... আর চুমু খাওয়ার পর দাঁত মেজেছিলি ভালো করে?
সেইদিন রাত তখন খুব গভীর। যাদবপুর এলাকার এক ফ্লাটের মালিক হঠাৎ শোনে “চকাস” “চকাস” করে আওয়াজ। বেশ জোরে। অনেকবার। ধড়ফড় করে উঠে আলো জ্বেলে দেখে একজন অপরিচিত লোক তার বউকে চুমু খাচ্ছে।
-কে তুই? কর্তা জিজ্ঞাসা করল
- আমি চোর?
- চোর। তা চুরি না করে আমার বউকে চুমু খাচ্ছিস কেন?
-কে তুই? কর্তা জিজ্ঞাসা করল
- আমি চোর?
- চোর। তা চুরি না করে আমার বউকে চুমু খাচ্ছিস কেন?
চোর বলল, “আপনি গেরুরা রঙের লুঙ্গি পরেছেন কেন? তাই চুরি না করে বউদিমনিকে চুমু খাচ্ছিলাম।
এবার কর্তা বউকে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি রসিয়ে রসিয়ে চুমু না খেয়ে চেঁচাও নি কেন?”
বউ বলল, “আমি তো প্রতিবাদ করছিলাম”।
এবার কর্তা বউকে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি রসিয়ে রসিয়ে চুমু না খেয়ে চেঁচাও নি কেন?”
বউ বলল, “আমি তো প্রতিবাদ করছিলাম”।
[একটি রংছাড়া বলে অখ্যাত পত্রিকায় ছাপা হয়। জুন/জুলাই। ২০১৫]
Comments
Post a Comment